Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd জানুয়ারি ২০২৫

বিনা মুগ১৩

জাতের নাম

বিনা মুগ১৩

 

জাতের বৈশিষ্ট্য

  • গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী।
  • গাছের উচ্চতা মাঝারী (৪০-৪৪ সে.মি)
  • ৮৫-৯০% পড একই সঙ্গে পরিপক্ক হয়।   
  • বীজের আকার বড় ও সবুজ বর্ণের।
  • পাতা হলুদ মোজাইক রোগ এবং সারকোস্পোরা রোগ সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন।
  • জীবনকাল ৬৩-৬৭ দিন।
  • হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৮৩ ট/হে. (একর প্রতি ১৯ মন)

 

জমি ও মাটি

বেলে দো-আঁশ হতে দো-আঁশ জমিতে এ জাত বপনে অধিক ফলন পাওয়া যায়।

 

জমি তৈরি

৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে সাধারনত জমি তৈরি করে বীজ বপন করতে হয়। দু’টি চাষ দেয়ার পর নির্ধারিত পরিমাণ ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমপি সার ছিটিয়ে পুনরায় চাষ ও মিই দিতে হয়। জমিতে পানির অভাব হলে একটি হালকা সেচ দেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় বীজ অংকুরোদগমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

 

 

বীজের পরিমাণ ও বপনের সময়

হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ কেজি, প্রতি একরে ১০-১২ কেজি বীজ লাইনে/ছিটিয়ে দিতে হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৩০ সে.মি (১২ ইঞ্চি) এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৮ সে.মি (৩ ইঞ্চি) রাখতে হবে।

 

মুগডালের ফুল আসার সময় ২৮-৩২ ডিগ্রি সে. থাকলে সবচেয়ে ভাল ফলন পাওয়া যাং এবং তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি এর নিচে থাকলে ফুল ঝরে যায়। এজন্য মুগডালের বপন সময় অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য হয়। বরিশাল অঞ্চলের জেলাসমূহে মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে মেষদিন (জানুয়ারীর তৃতীয় থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন সম্পন্ন করতে হবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে চৈত্রের মাঝামাঝি (মার্চের প্রথম থেকে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপন সম্পন্ন করতে হবে।

 

 

বপন পদ্ধতি

মুগ সাধারনত লাইনে বা ছিটিয়ে বপন করা যেতে পারে। বপনের পর ভালভাবে মই দিয়ে বীজগুলো ঢেকে দিতে হয়। লাইনে বপন করলে ফলন ভাল হয়।

 

সার প্রয়োগ পদ্ধতি

শেষ চাষের সময় নিম্নে উল্লেখিত পরিমাণ সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

সারের নাম

হেক্টর প্রতি (কেজি)

একর প্রতি (কেজি)

ইউরিয়া

৩০

১২

টিএসপি

৭০

২৮

এমওপি

৩৫

১৪

জিপসাম

৫০-৭০

২০-২৮

দস্তা

৩.৫-৫.০

১.৪-২.০

মলিবডেনাম

০.৫-২.০

০.২-০.৮

জীবাণুসার (ইউরিয়ার পরিবর্তে)

১.৫

০.৬

 

উল্লেখ্য যে, জীবাণু সার ব্যবহার করলে ইউরিয়া সার দেয়ার প্রয়োজন হয় না। এছাড়া উর্বর জমি হলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না।

 

সেচ ও নিষ্কাশন

গ্রীষ্মকালীন মুগ বপনের সময় জমি শুষ্ক হলে সেচ প্রয়োগ করে জমিতে জো আসার পর চাষ দিয়ে বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের পর জমি শুষ্ক হলে ২০-২৫ দিন পরও আরও একটি সেচ দিতে হবে। জমিতে পরিমিত রস থাকলে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

 

আগাছা দমন

চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

 

ক্ষতিকর রোগ ও পোকামাকড় দমন

জাতটি হলুদ মোজাইক ভাইরাস এবং সার্কোস্পোরা রোগ ক্ষমতাসম্পন্ন । সাধারনত কোন ছত্রাকনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। তবে ছত্রাকজনিত রোগের বেশি আক্রমন দেখা দিলে ডায়াথেন এম-৪৫ বা অন্য কোন উপযুক্ত ছত্রাকনাশক ফসলী জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে। বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ ২.০ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০/ প্রোভেক্স/ বেভিস্টিন-৫০ ডব্লিউপি দ্বারা শোধন করে নিলে রোগের আক্রমন অনেক কম হয়। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে সাথে সাথে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি ইত্যাদি কীটনাশক মাত্রা অনুযাযী স্প্রে কররে সুফল পাওয়া যায়।  

 

 

ফসল  সংগ্রহ ও বীজ সংরক্ষণ

বিশেষত: ডাল জাতীয় ফসল বিলম্বে কর্তন করলে দানা ঝরে যায়। প্রস্তাবিত জাতটির ৮৫-৯০% ফল প্রায় একসাথে পাকে এবং সংগ্রহ একসাথে করা সম্ভব। পড বাদামী/কালো রং ধারন করলে বুঝতে হবে পরিপক্ক হয়েছে। পরিপক্ক হলে জমিতে অধিক সময় না রেখে সময়মত সংগ্রহ করে সরাসরি মাড়াই স্থানে নেযা উচিত। মাড়াই ও শুকানোর স্থান পরিষ্কার পরিছন্ন হওয়া বাঞ্চনীয়। গাছগুলো ভালভাবে শুকিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বা গরু দিয়ে মাড়াই করে বীজ মাটি বা টিনের পাত্রে মুখ বন্ধ করে সংরক্ষণ করা হলে অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকে।

 

ফলন

হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৮৩ ট/হে.

 

প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুনঃ

 

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. সাকিনা খানম

মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান

ক্রপ ফিজিওলজি বিভাগ

বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২

কল করুনঃ +৮৮০১৭৩১-৫৫৬২৩২

ই-মেইলঃ sakina_71@hotmail.com